
ইতিমধ্যে থ্রি ডি প্রিন্টিংয়ের সাহায্যে কৃত্রিম মাংস তৈরি সম্পর্কে জেনেছেন,
থ্রি ডি প্রিন্টিংয়ের আরেকটি গুরুত্ব পূর্ণ খাত হচ্ছে ওষুধ শিল্প। বেশ কিছুদিন ধরে চিকিৎসকেরা থ্রিডি প্রিন্ট করা প্রস্থেটিকস ব্যবহার করছেন, যা স্বাভাবিক খরচের চেয়ে অনেক কমে উৎপাদন করা সম্ভবআবার ব্যক্তি নির্দিষ্ট সেবাও দেয়া যায় এর মাধ্যমে। যেমন এ বছরের শুরুতে রাশিয়ায় ফ্রস্টবাইট হয়ে অর্থাৎ বরফে জমে গিয়ে পা হারানো এক বিড়ালের পায়ের মাপে থ্রিডি প্রিন্টিং এর মাধ্যমে টাইটানিয়ামের পা তৈরি করা হয়েছে।ওষুধও থ্রিডি প্রিন্টেড হতে পারে, ছোট বাচ্চাদের চিকিৎসায় যা বিশেষ করে কাজে লাগতে পারে, যাদেরকে একেবারে অল্প পরিমাণে ওষুধ দিতে হয়।নিরীক্ষা-ধর্মী ওষুধ গবেষক অধ্যাপক ম্যাথিউ পিক বলেন, “বেশির ভাগ সময় শিশুদের জন্য যে ওষুধ বানানো হয় তা নির্দিষ্ট কোন শিশুর কথা মাথায় রেখে বা গবেষণা চালানো হয়েছে এমন কোন শিশুর জন্য তৈরি করা হয়। কিন্তু থ্রিডি প্রিন্টিং এর মাধ্যমে একেবারে প্রয়োজন অনুসারে ওষুধ বানানো যাবে।”গত বছর প্রথমবারের মত তার নেতৃত্বাধীন গবেষণা দল এক বাচ্চার জন্য থ্রিডি প্রিন্টেড পিল বানিয়েছিল। অন্যদিকে গবেষকেরা এখন নির্দিষ্ট রোগীর জন্য আলাদা আলাদা ডোজ ও উপসর্গ হিসাব করে ওষুধ বানাচ্ছেন।তবে এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে থ্রিডি প্রিন্ট করা মানব প্রত্যঙ্গ। যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে তারা থ্রিডি প্রিন্টিংয়ের মাধ্যমে জীবন্ত চামড়া তৈরি করেছে, যাতে রক্তনালী আছে। আগুনে পুড়ে চামড়া হারানো মানুষের জীবন রক্ষায় বিরাট ভূমিকা রাখবে এ প্রযুক্তি। তবে এখনো এ খাতে বড় বড় বাধা রয়েছে, যেমন এখনো পর্যন্ত পরীক্ষাটি করা হয়েছে ইঁদুরের ওপর। তাছাড়া চামড়া লাগানোর পর সেটি শরীরের অন্য প্রত্যঙ্গের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে কিনা তা এখনো পরীক্ষিত নয়।
✅ প্রযুক্তি কথন প্রযুক্তি নিয়ে কথা বলে।
বাংলায় প্রযুক্তি নিয়ে একটি মানসম্মত প্লার্টফর্ম গড়ে তোলার প্রয়াসে প্রযুক্তি কথন তৈরি করা হয়েছে, এই শুভ প্রয়াস বাস্তবায়ন করতে আপনার সহায়তা এবং সাপোর্ট অনেক বেশী প্রয়োজন।
প্রযুক্তি কথনের আজকের ফিচারটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে “লাইক” করুন, “কমেন্ট” করুন এবং আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং পরিচিতদের সাথে এটি “শেয়ার” করুন।
[ “কথা হোক প্রযুক্তি নিয়ে” ]
Sayan Ghosh
Great
Mahir Shahriar
Great